গৌরনদী প্রতিনিধি
বরিশালের উজিরপুরের বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে গত সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উজিরপুর ও বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার উজিরপুর থানায় মামলা হয়েছে।জানা গেছে, কালিহাতা গ্রামের ছত্তার ঘরামীর বখাটে ছেলে সবুজ ঘরামী একই গ্রামের মোখলেছ হাওলাদারের মেয়ে কালিহাতা দাখিল মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে জানালে তাঁরা সবুজের বাবা-মার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে একটি আপস মীমাংসা হয়। পরে বিকেলে একই গ্রামের মন্নাত সন্যামতের ছেলে আমির সন্যামত মোবাইলে ফোন করে ছাত্রীর ভাই সবুজ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, সাইদুল ইসলাম হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদারকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এ নিয়ে আমিরের সঙ্গে সবুজদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর আমিরের বাড়ি থেকে বের হয়ে ছত্তার ঘরামীর বাড়ির সামনে পেঁৗছলে বখাটে সবুজ ঘরামী (কাবিলা), সুমন ঘরামী, ছত্তার ঘরামী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে সবুজদের প্রহার ও কোপাতে শুরু করে। এ সময় ছাত্রীর পরিবারের সোহাগ হাওলাদার, সাইদুল ইসলাম, সবুজ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, শাওন হাওলাদার, রবিউল হাওলাদার, আক্তারুজ্জামান হাওলাদার, বখাটের পক্ষের সোহেল ঘরামী, রিজিয়া বেগম, ছত্তার ঘরামীসহ ১২ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষ মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ, ১৪ নভেম্বর ২০১২
Recent Comments