কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহবান
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি: বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ অক্টোবর, ২০১২ বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জাতীয় কন্যাশিশু দিবস।
বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। র্যালি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব তারিক-উল-ইসলাম, সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনাব শেখ আব্দুল আহাদ- চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, জনাব মোঃ নূরুজ্জামান-পরিচালক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ড. বদিউল আলম মজুমদার-সভাপতি, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ- সহ-সভাপতি এবং জনাব নাছিমা আক্তার জলি-সম্পাদক, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম। এছাড়া ঢাকা শিশু একাডেমী’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং ৫৬টি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী কন্যাশিশুর অধিকার সম্বলিত শ্লোগানে শ্লোগানে র্যালিটিকে মুখরিত করে তোলে।
কন্যাশিশু দিবসের র্যালি অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী টমটম গাড়িতে সজ্জিত র্যালিটি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন জনাব তারিক-উল ইসলাম-সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আলোচক হিসেবে উপসি’ত ছিলেন জনাব শেখ আব্দুল আহাদ-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, জনাব মোঃ নুরুজ্জামান-পরিচালক বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ- সহ-সভাপতি, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম, জনাব রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা-বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, জনাব কামরুন্নেসা হাসান-সাবেক উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং মাসহুদা খাতুন শেফালী-নির্বাহী পরিচালক, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক জনাব নাছিমা আক্তার জলি।
স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে ফোরাম সম্পাদক বলেন, কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষার ব্যাপারে পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য প্রয়োজন আমাদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস’ান থেকে একজন সক্রিয় নাগরিকের ভূমিকা পালন করা। পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের প্রত্যেকটি স-রে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিসহ তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।
আলোচনাপর্বে বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনাব তারিক-উল-ইসলাম আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, কন্যাশিশুরা সমস- বাধা-বিপত্তিকে পেছনে ফেলে তাদের মেধা ও মনন কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ আহ্বান জানান, কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য দূর করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজে বিদ্যমান অচলায়তন ভাঙ্গতে হবে ।
শিশু একাডেমীর পরিচালক জনাব মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান অবদান রাখতে হবে। অন্যথায় সমাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস’ হবে। তাই কন্যাশিশু ও ছেলেশিশু উভয়েরই সমানভাবে যত্ন নিতে হবে।
অধ্যাপক লতিফা আকন্দ বলেন, শিশুদেরকে মর্যাদা দিতে হবে এবং তাদের মধ্যে যে অফুরন- শক্তি রয়েছে, সেই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। জনাব মাসহুদা খাতুন শেফালী বলেন, আমাদের কন্যাশিশুরা এখন তাদের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে অনেক বেশি সচেতন। এটা শুভ লক্ষণ।
সঙ্গীতশিল্পী জনাব রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, প্রকৃতিগতভাবেই নারী কল্যাণী শক্তির অধিকারী। নারীর ধৈর্য্য, ধারণক্ষমতা এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনাব কামরুন্নেসা হাসান বলেন, আগামী দিনের নেতৃত্বে আসবে আজকের শিশুরা। তাই তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে হবে এবং তাদের বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ফোরাম সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিদ্ধান- গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্র শৈশব থেকেই তৈরি করতে হবে। এ জন্যে কন্যাশিশুর নির্বিঘ্নে বেড়ে ওঠার জন্য পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন-রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলাদেশের কিশোরী সিলভিয়া আক্তার, পিএসটিসি‘র তানিয়া আক্তার এবং বরিশাল থেকে আগত মাহবুবাহ আহমেদ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, সমাজে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা বিদ্যমান থাকার কারনে কন্যাশিশু এবং নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে, পাশাপাশি কন্যাশিশুদের প্রতি বঞ্চনা দূর করার জন্য যে সব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, সেখানে ছেলেশিশুদেরকেও সঙ্গী করতে হবে। একই সাথে তারা পরিবার এবং সরকারের কাছে নিরাপদ পরিবেশ পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। তারা মনে করে, পারিপার্শ্বিক অনুকূল পরিবেশ পেলেই একজন কন্যাশিশু তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পরিপূর্ন বিকাশ ঘটাতে পারবে। আর এই বিকাশ ঘটাতে পারলেই কন্যাশিশু তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে এবং বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে।
সভার একপর্যায়ে দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ২২ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখা সম্বলিত বিশেষ প্রকাশনা ‘কন্যাশিশু -৮’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়। মোড়ক উম্মোচন পর্ব শেষে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতা এবং কেন্দ্রিয়ভাবে ঢাকা শিশু একাডেমীতে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার হিসেবে বই, সার্টিফিকেট ও ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশন, অপরাজেয় বাংলাদেশ, আরএসসি, এএসডি, পিএসটিসিসহ ফোরামের সদস্য ও সহযোগি সংগঠন এর অংশগ্রহণকারীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২, পোষ্টারের মোড়ক উন্মোচন করে দেখাচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০১২ উপলক্ষে ২ অক্টোবর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম ও প্ল্ল্যান বাংলাদেশের সহায়তায় ক্রোড়পত্রটি প্রকাশিত হয়। এতে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এম.পি, সচিব তারিক-উল-ইসলাম, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, প্ল্ল্যান বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মায়রনা রেমাটা ইভোরা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী-এর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ তাঁদের মূল্যবান বাণী প্রদান করেন এবং ফোরাম সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি’র দিবস সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়।
ক্রোড়পত্রটি প্রকাশের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে কন্যাশিশুরা যেন নিরাপদে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ লাভ করে এর মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা ফুটে ওঠে।
গোলটেবিল বৈঠক
জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম এবং সিসিডিবি’র যৌথ উদ্যোগে ৪ অক্টোবর ২০১২ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সম্পত্তিতে নারীর অভিগম্যতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকারের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. শাহ আলম-ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ল’ কমিশন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস’াপন করেন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ-আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচক হিসাবে উপসি’ত ছিলেন এডভোকেট রেহেনা সুলতানা- পরিচালক, লিগ্যাল এইড, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং এডভোকেট নিলুফার বানু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার।
গোলটেবিল বৈঠকে উপসি’ত আলোচক ও অতিথিবৃন্দ।
মূল প্রবন্ধ উপস’াপনকালে জনাব মাসুম বিল্লাহ বলেন, নারী শিক্ষা বিস-ার, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে কিছুটা অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে সম্পত্তিতে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এখনও সম্ভব হয়নি। যেখানে একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই উত্তরাধিকার আইনে নারীর সমঅধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, সেখানে শুধু বাংলাদেশের মতো কিছু দেশে এখনও পর্যন- উত্তরাধিকার আইনে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। সম্পত্তির মালিকানায় নারীর প্রতি বৈষম্য হলো অন্যান্য খাতে বৈষম্যের সহায়ক। এটা দূর করতে পারলে তালাক, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতা ইত্যাদি হ্রাস পাবে।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি ড. শাহ আলম সিডও’র শর্ত সংরক্ষণ প্রত্যাহার এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আইনের সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অধ্যাপক লতিফা আকন্দ বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে হলে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিহার করতে হবে। এডভোকেট রেহেনা সুলতানা বলেন, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন থাকার কারণে নারী চরমভাবে বৈষম্যের শিকার। নারী-পুরুষে সমতা না থাকলে কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। তাই জাতির অগ্রগতির স্বার্থে নারীর আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অত্যন- জরুরি। এডভোকেট নিলুফার বানু বলেন, আমাদের সমাজে নারীরা পুরুষতান্ত্রিকতার শিকার। নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা তৈরি করার পাশাপাশি সমাজসৃষ্ট সুযোগসমূহে নারী-পুরুষের সমান অভিগম্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে ফোরাম সম্পাদক জনাব নাছিমা আক্তার জলি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ক আন-র্জাতিক দলিল সিডও সনদ অনুমোদন করা সত্ত্বেও এই সনদের পূর্ণ বাস-বায়ন এখনও হয়নি। ফলে নারীর সকল অধিকার, বিশেষ করে সম্পত্তির ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বেশ জটিল অবস’ায় আছে। নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ব শর্ত হলো সিডও সনদের পূর্ণবাস-বায়ন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীরা স্বাস’্য, শিক্ষা, পুষ্টি কর্মসংস’ান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বঞ্চণার শিকার হয়। এই বঞ্চণার মাশুল শুধু নারীরাই দেয় না পুরো পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে দিতে হয়। তাই সম্পদে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অভিগম্যতা অত্যন- জরুরি।
সভাপতির ভাষণে ড. মিজানুর রহমান বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের প্রধান করণীয় হলো, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যারা বিরূপ মনোভাব পোষণ করে, তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা। তিনি আরও বলেন সম্পত্তিতে ব্যক্তি মালিকানা ব্যবস’ার অবসান ঘটাতে হবে। বিশেষ করে ভূমির মালিকানা সমবায়ভিত্তিক বা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রুপান-রিত করতে পারলে, নারীর প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হবে।
Recent Comments