২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’ হস্তান্তর সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রান্ত একটি পাশ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার জনাব মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, এমপি। তিনি পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’ হস্তান্তর সম্পর্কিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন।

সভাটি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, জাতীয় সংসদ ভবনের মিনিস্টার হোস্টেল সংলগ্ন আইপিডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জনাব মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি- মাননীয় সভাপতি, পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। সভায় মাননীয় সংসদ সদ্যস্যদের মধ্যে জনাব নাজমুল হক প্রধান, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেবুন্নেসা হীরণ, মো. আবুল কালাম, পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. ইয়াসিন আলী, কাজী রোজী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম, কামরম্নন্নাহার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, উম্মে রাজিয়া কাজল এবং অ্যাডভোকেট হোসনে আরাসহ ১৫জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া সভায় চারজন সিনিয়র জজ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স এবং প্ল্যান ইন্ট্যারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহায়তায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনাব মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি বলেন, ‘আমি মনে করি, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এটি একটি ভাল আইন হয়েছে। আইনটি পাশ হলে আমাদের নারীরা ও কন্যাশিশুরা উপকৃত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘আইনটি সংসদে আইনটি উত্থাপন করার ব্যাপারে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার সহায়তা করবেন বলেছিলেন, তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। বেশ কয়েকজন বিচারক আইনটির খসড়া তৈরিতে অবদান রেখেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে নারীরা এখনো বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হন। তাই নারীদের সুরক্ষা বিশেষ করে যৌন হয়রানি থেকে তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন। প্রয়োজন এই সম্পর্কিত একটি আইন প্রণয়ন। এমন অনুধাবন থেকে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে অনেকের মতামতের ভিত্তিতে এই সম্পর্কিত একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আইনটি দ্রুত সংসদে পাশ হবে।’

সভার শুরুতে প্রস্তাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৮ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট, এই আইন প্রণয়নে অন্য আর কোন কোন আইন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে কী আছে এবং এই আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সম্পাদক জনাব নাছিমা আক্তার জলি।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৮’-এর একটি কপি ডেপুটি স্পীকার জনাব মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং জনাব মীর শওকাত আলী বাদশা এমপির হাতে তুলে দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।