
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
সদর উপজেলার দেওনাহার গ্রামে সোমবার কীটনাশক পান করে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তার নাম তৃষ্ণা রানী মণ্ডল দৃষ্টি। সজল হাওলাদার নামে এক ছাত্রলীগ নেতার যৌন হয়রানির শিকার এবং তাকে অপহরণচেষ্টার অপমানে সে আত্মহত্যা করে। আত্মহননকারী দৃষ্টি দেওনাহার গ্রামের স্বপন চন্দ্র মণ্ডলের মেয়ে। সে সন্ন্যাসতলী নাছরিন সিদ্দিকী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। জানা গেছে, কিছুদিন ধরে দৃষ্টিকে যৌন হয়রানি করে আসছিল দেওনাহারের পাশের নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার চন্দ্রকোলা গ্রামের আকেশ চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে ও ধামুইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজল চন্দ্র হাওলাদার। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে প্রেম নিবেদন, কখনও কুপ্রস্তাব দিত সে। এতে সাড়া না দেওয়ায় সোমবার দুপুরে সজল তার বন্ধু ইসবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ আলী, ছাত্রদলের কর্মী গোলজার হোসেনসহ কয়েকজন তিনটি মোটরসাইকেলে করে দৃষ্টিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। গ্রামবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এতে দৃষ্টি ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় তার সম্ভ্রমহানি হয়েছে_ এমন প্রচার শুরু হয়। ক্ষোভ-লজ্জায় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দৃষ্টি কীটনাশক পান করে। দ্রুত তাকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় সজল, এরশাদ, গোলজারসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন দৃষ্টির বাবা স্বপন কুমার মণ্ডল।
তথ্যসূত্র: সমকাল, ১৩ মার্চ ২০১৩
Recent Comments