২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ (সংশোধিত)

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা,৪ঠা শ্রাবণ,১৪১০/১ঌশে জুলাই,২০০৩

সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৪ঠা শ্রাবণ ,১৪১০ মোতাবেক ১ঌ শে জুলাই ,২০০৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ-
২০০৩ সনের ৩০ নং আইন

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ এর সংশোধন কল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু নিম্নবর্ণেত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(২০০০ সনের ৮ নং আইন) -এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

যেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন-

(১) এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,২০০৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন-
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (২০০০ সনের ৮ নং আইন),অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত ,এর ধারা ২ এর দফা (ঞ) এবং (ট) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঞ) এবং (ট) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“(ঞ)” ‘যৌতুক’ অর্থ-

(অ) কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সর্ম্পক বিদ্যমান থাকাকালে ,বিবাহ স্থিও থাকার শর্তে ,বিবাহের পণ হিসেবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ ,সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ:

অথবা

(আ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্‌পূর্বে বা বৈবাহিক সর্ম্পক বিদ্যমান থাকাকালে ,বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ;

(ট) ‘শিশু’ অর্থ অনধিক ষোল বত্সর বয়সের কোন ব্যক্তি ।
৩। ২০০০ সনের ৮নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধনঃ-

উক্ত ধারা ৯ এর উপধারা (১) এর ব্যাখ্যাতে দুইবার উল্লিখিত ‘ চৌদ্দ বত্সরের ‘ শব্দগুলির পরিবর্তে উভয় স্থানে ‘ষোল বত্সরের’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

৪। ২০০০ সনের ৮নং আইনে নূতন ধারা ৯ক এর সন্নিবেশ :-

উক্ত আইনের ধারা ৯ এর পর নিম্নরূপ নতুন ধারা ৯ক সন্নিবেশিত হইবে,যথাঃ-

“৯ক”। নারীর আত্নহত্যায় প্ররোচনা,ইত্যাদির শাস্তি :- কোন নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার
বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত (willful) কোন কার্য দ্বারা সম্ভমহানি হইবার প্রত্যক্ষ
কারণে কোন নারী আত্নহত্যা করিলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত নারীকে অনুরূপ কার্য আত্নহত্যা
করিতে প্ররোচিত করিবার অপরাধে অপরাধী হইবেন এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি
অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার
অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হইবেন।

৫।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১০ এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১০ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১০ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ-

“১০”।যৌন পীড়ন ইত্যাদির দন্ডঃ- যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার
উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ
বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই
কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন তিন বছর
সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

৬।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন :-
উক্ত আইনের ধারা ১১ এর

(ক) “উক্ত নারীকে আহত করেন বা আহত করার চেষ্টা করেন”, কমাগুলি এবং শব্দগুলির
পরিবর্তে “কিংবাউক্ত নারীকে মারাত্মক জখম ( grievous hurt) করেন বা সাধারণ
জখম (simple hurt) করেন” শব্দগুলি এবং বন্ধনীগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) দফা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (খ) ও (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“(খ) মারাত্নক জখম (grievous hurt)করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে অথবা
অনধিক বার বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং
উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;
(গ) সাধারণ জখম (simple hurt) করার জন্য অনধিক তিন বত্সর কিন্তু অন্যূন এক
বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থ দন্ডেও দন্ডনীয়
হইবেন”।

৭।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৩ এর প্রতিস্থাপন :-
উক্ত আইনের ধারা ১৩-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ১৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথাঃ-

“১৩ ধর্ষণের ফলশ্রুতিতে জণ্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান :-
(১) অন্য কোন আইনে ভিন্নতর
যাহা কিছুই থাকুক না কেন , ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জণ্মলাভ করিলে-

(ক) উক্ত সন্তানকে তাহার মাতা কিংবা তাহার মাতৃস্থানীয় আত্নীয়স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা
যাইবে ;
(খ) উক্ত সন্তান তাহার পিতা বা মাতা,কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হইবার অধিকারী
হইবে;
(গ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের ভার রাষ্ট্র বহন করবে;
(ঘ) উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের ব্যয় তাহার বয়স একুশ বত্সর পূর্তি না হওয়া পর্যন্ত
প্রদেয় হইবে, তবে একুশ বত্সরের অধিক বয়স্ক কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তাহার
বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত এবং পঙ্গু সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণপোষণের যোগ্যতা
অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদেয়।

(২) সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ
প্রদেয় অর্থেও পরিমাণ নির্ধারণ করিবে।

(৩) এই ধারার অধীনে কোন সন্তানকে ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থ সরকার ধর্ষকের নিকট
হইতে আদায় করিতে পারিবে এবং ধর্ষকের বিদ্যমান সম্পদ হইতে উক্ত অর্থ আদায় করা
সম্ভব না হইলে,ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হইবেন সেই সম্পদ হইতে
উহা আদায়যোগ্য হইবে।”

৮। ২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৮-এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১৮ এর পরিবর্তে
নিম্নরূপ ধারা ১৮ প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“১৮৷ অপরাধের তদন্ত -(১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন ,এই
আইনের অধীনে কোন অপরাধের তদন্ত –
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে বা অন্য
কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে, তাহার ধৃত হইবার তারিখ
হইতে পরবর্তী পনের কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে; অথবা
(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে ধৃত না হইলে তাহার অপরাধ সংঘটন
সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তি বা ক্ষেত্রমত , সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতা
প্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা ট্রাইব্যুনালের নিকট হইতে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তিতে তারিখ হইতে
পরবর্তী ষাট কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে।

(২) কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে ,তদন্তকারী কর্মকর্তা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অপরাধের তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তত্সর্ম্পকে কারণ উল্লেখ পূর্বক তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমত,তদন্তেও আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে অবহিত হইবার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা ,ক্ষেত্রমত, তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপে কোন অপরাধের তদন্তভার হস্তান্তর করা হইলে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা –

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময়ে হাতে নাতে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হইলে
বা অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধৃত হইয়া পুলিশের নিকট সোপর্দ হইলে,তদন্তের
আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিবেন;
অথবা

(ক) অন্যান্য ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে পরবর্তী ত্রিশ কার্যদিবসের
মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে।

(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্ত কারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্ত কার্য সম্পন্ন না হওয়া সর্ম্পকে তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা ,ক্ষেত্রমত ,তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

(৬) উপ-ধারা (২) বা উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে কোন তদন্তকার্য সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে ,তত্সর্ম্পকে ব্যাখ্যা সমন্বিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা,ক্ষেত্রমত,তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাই দায়ী,তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবেএবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

(৭) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর যদি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া এই
মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত প্রতিবেদনে আসামী হিসেবে উল্লিখিত কোন ব্যক্তিকে ন্যায়
বিচারের স্বার্থে সাক্ষী করা বাঞ্চনীয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী হিসাবে
গন্য করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৮) যদি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তির পর ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রতীয়মান হয় যে,এই আইনের
অধীনে কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায় হইতে রক্ষা
কবারষ উদ্দেশ্যে বা তদন্তকার্যে গাফিলতির মাধ্যমে অপরাধটি প্রমাণে ব্যবহারযোগ্য কোন
আলামত সংগ্রহ বা বিবেচনা না করিয়া বা মামলার প্রমাণের প্রয়োজন ব্যতিরেকে উক্ত
ব্যক্তিকে আসামীর পরিবর্তে সাক্ষী করিয়া বা কোন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে পরীক্ষা না করিয়া
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন ,তাহা হইলে উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উক্ত
কার্য বা অবহেলাকে অদক্ষতা বা ক্ষেত্রমত ,অসদাচরণ হিসেবে চিহ্নিত করিয়া ট্রাইব্যুনাল
উক্ত কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে তাহার বিরূদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহেনর
নির্দেশ দিতে পারিবে।

(৯) ট্রাইব্যুনাল কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে বা কোন তথ্যের ভিত্তিতে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার
পরিবর্তে অন্য কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে
পারিবে।

৯।২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৯-এর প্রতিস্থাপনঃ-
উক্ত আইনের ধারা ১ঌ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

”১৯। অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, ইত্যাদি–(১) এই আইনের অধীন দন্ডনীয় সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) হইবে।

(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,এই আইনের অধীন দন্ডনীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটনে জড়িত মূল এবং প্রত্যক্ষভাবে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হইবে না,যদি-
(ক) তাহাকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনের উপর অভিযোগকারী পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দেওয়া না হয়;এবং
(খ) তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হন।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি নারী বা শিশু হইলে কিংবা শারীরিকভাবে অসুস্থ (sick or infirm) হইলে সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইবে না মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হইলে তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে।

(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত ব্যক্তি ব্যতীত এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া ন্যায়সঙ্গত হইবে মর্মে ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হইলে তদমর্মে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনাল জামিনে মুক্তি দিতে পারিবে।”

১০।২০০০সনের ৮নং আইনের ধারা ২০ এর সংশোধন।-
উক্ত আইনের ধারা ২০ এর –

(ক) উপ-ধারা (৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৬) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“(৬) কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত মনে
করিলে এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন অপরাধের বিচার কার্যক্রম রুদ্ধদ্বার কক্ষে
(Trail in camera) অনুষ্ঠিত করিতে পারিবে।”

(খ) উপ-ধারা (৭) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (৮) সংযোজিত হইবে, যথাঃ-
“(৮) কোন নারী বা শিশুকে নিরাপত্তা হেফাযতে রাখিবার আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে
ট্রাইবু্যনাল ,উক্ত নারী বা শিশুর কল্যাণ ও স্বার্থ রক্ষার্থে তাহার মতামত গ্রহণ ও
বিবেচনা করিবে।”

১১। ২০০০সনের ৮নং আইনের ধারা ২৭ এর সংশোধন।-
উক্ত আইনের ধারা ২৭ এর উপধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১),(১ক),(১খ) এবং(১গ) প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“(১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে
সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত
রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।

(১ক) কোন অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন মর্মে
হলফনামা সহকারে ট্রাইব্যুনালের নিকট অভিযোগ দাখিল করিলে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকারীকে
পরীক্ষা করিয়া-

(ক) সন্তুষ্ট হইলে অভিযোগটি অনুসন্ধানের (inquiry) জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা
অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি
অভিযোগটি অনুসন্ধান করিয়া সাত কার্য দিবসের মধ্যে ট্রাইবু্যনালের নিকট রিপোর্ট প্রদান
করিবেন;
(খ) সন্তুষ্ট না হইলে অভিযোগটি সরাসরি নাকচ করিবেন।

(১খ) উপ-ধারা (১ক) এর অধীন রিপোর্ট প্রাপ্তির পর কোন ট্রাইব্যুনাল যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়
যে,
(ক) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন
এবং অভিযোগের সমর্থনে প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ আছে সেই ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উক্ত
রিপোর্ট ও অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন;

(খ) অভিযোগকারী উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন
মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় নাই কিংবা অভিযোগের সমর্থনে কোন প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ
পাওয়া যায় নাই সেই ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি নাকচ করিবেন;

(১গ) উপ-ধারা (১) এবং (১ক) এর অধীন প্রাপ্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ
সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সর্ম্পকে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল
,যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে ,কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির
ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবেন।”

১২। ২০০০সনের ৮নং আইনের নূতন ধারা ৩১ক এর সন্নিবেশ।-
উক্ত আইনের ধারা ৩১ এর পর নিম্নরূপ ধারা ৩২ প্রতিস্থাপিত হইবে,যথাঃ-

“৩২। অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা ।- (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা সরকারী হাসপাতালে কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন বেসরকারী হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাইবে৷

(২)উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন হাসপাতালেও এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির চিকিত্সার জন্য উপস্থিত করা হইলে ,উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক তাহার মেডিক্যাল পরীক্ষা অতিদ্রত সম্পন্ন করিবে এবং উক্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করিবে এবং এইরূপ অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি স্থানীয় থানাকে অবহিত করিবে।

(৩) এই ধারার অধীন যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোন মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে, তত্সর্ম্পকে ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা কিংবা ,ক্ষেত্রমত মেডিক্যাল পরীক্ষার আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ,ম্যাজিস্ট্রেট,ট্রাইব্যুনাল বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে,যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকই দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে,এবং সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের বিরূদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা ক্ষেত্রমত ,যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে।”

One Response

Comments are closed.