২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

কমেনি নির্যাতন যৌন হয়রানি!

logo, amadershomoy.com
জব্বার হোসেন : মানুষ সভ্য হলে, কমে অসভ্যতা। কিন্তু কোনও সমাজে যখন খুন, গুম, যৌন নির্যাতন বেড়েই চলে তখন কী বলা উচিত? সভ্য নাকি অসভ্য সমাজ। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জে ঘাতক স্বামীর হাতে পুড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গৃহবধূ ঝুমা। বছরটি দুর্ঘটনা দিয়ে বিদায় নিলেও ২০১১ সালের শুরুটা হয় সহিংসতা দিয়েই। বছরের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কল্যাণপুরে স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ হারান সোনিয়া আক্তার। বছরটা শেষও হয় মধ্যযুগীয় বরবর্তার মধ্য দিয়ে কিশোরী জুঁইয়ের পাঁচটি আঙ্গুল কাটার মধ্য দিয়ে। মাঝে আরও অসংখ্য নির্যাতন, যৌন হয়রানি।ইডেন কলেজ ছাত্রী লিপি ডাক্তার কর্তৃক যৌন নিগৃহ, পাচার হওয়া নাদিয়ার লাশ ভারত থেকে ফেরত, লেবাননে পাচারের শিকার পাঁচ নারী, বদরগঞ্জে গ্রাম্য শালিসে হ্যাপিকে নির্যাতন, নারায়ণগঞ্জে মায়ের সামনে তুলে নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ, রাজশাহীর চারঘাটে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, রাজধানীর মুড়াপাড়ায় গৃহকর্মী তৃষা

তার স্ত্রী সামান্থা শত ব্যসত্মতার মধ্যেও চেষ্টা করেন একে অপরের সঙ্গে প্রতিদিন কিছু একানত্ম সময় কাটানোর। তিনি আরও জানান, চলতি জুন মাসে তাদের বিবাহিত জীবন ১৬ বছর পার করবে। কিন্তু এখনো ক্যামেরনের কাছে সেই ১৯৯৬ সালের জুন মাসের বিয়ের দিন এবং মধুচন্দ্রিমার দিনের প্রতিটি মুহূর্তের কথা স্পষ্ট মনে আছে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ম্যাগাজিনের সাংবাদিক ক্যামেরনকে বলেন, ‘প্রতি মুহূর্ত? মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, এটা কি খুব বেশি হয়ে গেল না? এতটা কি মনে রাখা সম্ভব?’

উত্তরে ক্যামেরন বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনার কাছে যাদি এটা বেশি বেশি মনে হয়, তাহলে আপনি লিখতে পারেন যে, বিয়ের প্রতিটি ঘণ্টা আমার মনে আছে। কিন্তু সত্যিই সেই দুটো দিনের প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি আমার কাছে জীবনত্ম।’ওই ম্যাগাজিনকে ডেভিড ক্যামেরন আরও জানান, তিনি এবং স্ত্রী সামান্থা প্রতি সপ্তাহে ‘রোমান্টিক’ ডিনারে যান, প্রতি বছরের ভ্যালেন্টাইন ডে-তে ঘুরতে বের হন, একে অপরের কাছ থেকে কখনো দূরে গেলে বিশেষ উপহার পাঠিয়ে নিজেদের উপস্থিতিকে মনে করিয়ে দেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘বছরের বিশেষ দিনগুলোতে তো বটেই, এমনকি প্রতি সপ্তাহে আমি আর সামান্থা এমন একটা সন্ধ্যা কাটাই যেখানে আর কারো উপস্থিতি একদমই গ্রহণযোগ্য না। ওই সময়টা কখনো আমরা ঘরেই কাটাই অথবা মাঝেমধ্যে গাড়ি নিয়ে দূরে কোথাও বেরিয়ে আসি। সুখে থাকার জন্য এর চেয়ে বেশি আর কী চাই?’

নিজের দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার নতুন বছরের প্রত্যয় সম্পর্কেও ম্যাগাজিনকে জানান। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। এ বছর ভাবছি একটু ওজন কামাতে হবে। এটা আমার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো হবে, তেমনি ভালো হবে আমার কাজের জন্যও। আরো বেশি উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে পারব। শরীর খুব বেশি ভারি হয়ে যাওয়ায় খুব জলদিই হাঁপিয়ে উঠি।’

তথ্যসূত্র: আমাদের সময়.কম, ১৮ জানুয়ারি ২০১২