কলেজপড়ুয়া বোনকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করায় গত মঙ্গলবার রাতে সেতু মিয়াকে (২০) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাবার নাম আবুল হাসেম মিয়া নান্নু। বাড়ি জেলা সদরের পাচুরিয়া ইউনিয়নের নবগ্রামে।রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি আহত সেতুর বাবা আবুল হাসেম মিয়া নান্নু বুধবার বলেন, ‘আমার মেয়ে রাজবাড়ী সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে পড়ে। তাকে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের আজিজুল সরদারের বখাটে ছেলে বছির সরদার (২০) ও তার সহযোগীরা উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি বছিরের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা আমার মেয়েকে বছিরের সঙ্গে বিয়ে দিতে বলে। তবে আমরা বখাটে বছিরের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি নই। এ কারণে তারা তাকে তুলে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে মাসখানেক আগে বাধ্য হয়ে তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তার নতুন সংসার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করাসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। এদিকে মেয়ের সংসার রক্ষা ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে আমি গত ১৯ মার্চ রাজবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমার ছেলে সেতু মিয়া বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে পানি দিতে যাচ্ছিল। এ সময় সে নবগ্রাম বাজারের পাশের দিলীপ কুমার রবি দাসের বাড়ির কাছে যেতেই বখাটে বসির সরদার, হামজা সরদার, উজ্জ্বল সরদার, সোহেল সরদার, রাতুল সরদার, রাজু সরদারসহ ১০-১২ জন তাকে ঘিরে ধরে। তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও বাঁ পা কুপিয়ে সেতুকে জখম করে। সেতুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ, ১১ এপ্রিল ২০১৩
Recent Comments