২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

জাতির সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কন্যাশিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে কন্যাশিশু দিবস উদযাপন

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে
র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কন্যাশিশু দিবস-২০১৫ উদ্‌যাপন

????????????????????????????????????‘কন্যাশিশুর নিরাপদ পরিবেশ, সমৃদ্ধ করবে আগামীর বাংলাদেশ’ – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে উদ্‌যাপিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৫। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১২ অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩০টায় শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং র‌্যালি শেষে সকাল ১০:০০টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
র‌্যালি উদ্বোধন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নাছিমা বেগম এনডিসি- মাননীয় সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার- সভাপতি, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম ও জনাব শাহিন আক্তার ডলি- সহসভাপতি জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এম.এ. মুহিত- বাংলাদেশী প্রথম এভারেস্ট জয়ী । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোশাররফ হোসেন- পরিচালক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব নাছিমা আক্তার জলি- সম্পাদক, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, কোন শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না এবং না খেয়ে মরবে না – এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশে এখনও ৩৫ লাখ শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এবং এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে হলে কন্যাশিশুর প্রতি কোন বৈষম্য করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘কন্যাশিশুদের মৌলিক অধিকারসমূহ যথা- শিক্ষা, পুষ্টি, খাদ্য ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে, কোনভাবেই তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ তিনি ‘শিশুর প্রতি সকল প্রকারের সহিংসতা বন্ধ করার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।।’
সভাপতির বক্তব্যে জনাব মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কন্যাশিশু দিবস খুব উৎসবমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর অবদান অত্যন্ত- ইতিবাচক। তাদের সাহসী ভূমিকার জন্যই আমাদের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কন্যাশিশুরা শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভূমিকা রাখবে। তাঁরা আমাদের দেশের সম্পদ।’
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশু দিবস আমরা ২০০০ সাল থেকে উদযাপন করছি। আজ ১৬ বছরে পা দিয়েছে এ দিবস। সাধারণত শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু হয় ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে। এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরকে আমরা কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালনের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করি। তাঁরা দ্রুততার সাথে সম্মত হয়। এখন সরকার, বেসরকারী সংগঠন সকলে এ দিবসটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করে। এখন প্রশ্ন আমরা কেন এ অনুরোধ করলাম? কারণ কন্যাশিশুরা সমাজে প্রতিনিয়তই নানা বঞ্চনার শিকার হয়। কন্যাশিশুরা সমাজের অর্ধেক অংশ। সমাজের অর্ধেক অংশই যদি বঞ্চিত হয়, সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। আমরা কন্যাশিশুর অধিকারকে মানবাধিকারে পরিণত করতে পেরেছি। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০১২ সালের ১১ অক্টোবরকে কন্যাশিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ জন্য আমরা গর্বিত।’
জনাব শাহিন আক্তার ডলি বলেন, ‘আজ এ অনুষ্ঠানে ৬৪টি সংগঠনের কিশোর-কিশোরীরা অংশগ্রহণ করেছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি, কন্যাশিশুর নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আজকের শিশু আগামী দিনের মা। সুতরাং আমাদেরকে এ গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে।’