২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৯’ হস্তান্তর সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত

পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে
পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে প্রসত্মাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৯’ হসত্মানত্মর সমপর্কিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি আজ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, জাতীয় সংসদ ভবনের মিনিস্টার হোস্টেল সংলগ্ন আইপিডি সম্মেলন কক্ষে (মিডিয়া সেন্টার) অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন জনাব মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, মাননীয় ডেপুটি সিপকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস-এর কো-চেয়ারপার্সন আরমা দত্ত এমপি। সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু এমপি, মাননীয় সভাপতি, পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস ও সভাপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমপর্কিত স’ায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। সভায় আটজন জন সংসদ সদস্য এবং দুইজন সিনিয়র জজ এবং এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ উপসি’ত ছিলেন।

সভাটি সঞ্চালনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র-এর নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা। সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার ডলি। উলেস্নখ্য, সভাটি গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স এবং পস্ন্যান ইন্ট্যারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি সিপকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি থেকে নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের দেশে এই সংক্রানত্ম একটি পাশ হওয়া উচিত। আমি জেনে আনন্দিত হয়েছি যে, ইতিমধ্যে এ সংক্রানত্ম একটি আইনের খসড়া প্রণীত হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে অনেক আগেই এ ধরনের একটি আইন পাশ করার দরকার ছিল।’

তিনি বলেন, খসড়া বিলটি একটি কমিটির মাধ্যমে পরীড়্গা-নিরীড়্গা করে পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস-এর কাছে হসত্মানত্মর করা হবে। ককাসের পড়্গ থেকে মতামত পাওয়ার পর সবার সাথে আলোচনা করে আইনটি চূড়ানত্ম করা হবে। এরপর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হবে।’ আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য তিনি জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামকে ধন্যবাদ জানান এবং বিলটি আইনাকারে পাশ করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, ‘নারী ও কন্যাশিশুদের অধিকার রড়্গায় বর্তমান সরকার অত্যনত্ম আনত্মরিক। এ লড়্গ্যে বিভিন্ন আইন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তথাপিও নারী ও কন্যাশিশুরা বিভিন্ন নির্যাতন বিশেষ করে যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমি মনে করি, আমাদের আগামীর ভবিষ্যত কন্যাশিশুদের সুরড়্গার জন্য দ্রম্নতই ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৯’ আইনটি পাশ হওয়া পাশ হওয়া দরকার। কারণ নারী ও কন্যাশিশুদের অধিকার ও সুরড়্গা নিশ্চিত করতে না পারলে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে না।’

আরমা দত্ত এমপি বলেন, ‘যৌন হয়রানি থেকে নারী ও শিশুদের সুরড়্গার জন্য অত্যনত্ম যুগোপযুগী ও সুচিনিত্মত আইনের খসড়া প্রণীত হয়েছে। তবে আইনের মধ্যে যে জটিলতা থাকে তা এড়াতে খসড়া আইনটির আরও বিশেস্নষণ হওয়া দরকার।’

সভার শুরম্নতে প্রসত্মাবিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৯ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট, এই আইন প্রণয়নে অন্য আর কোন কোন আইন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, প্রসত্মাবিত আইনে কী আছে এবং এই আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সমপর্কে আলোচনা করেন কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সমপাদক নাছিমা আক্তার জলি। এরপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উপসি’ত সংসদ সদস্যগণ এবং এনজিও প্রতিনিধিগণ খসড়া আইনের ওপর তাদের মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে প্রসত্মাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১৯’-এর একটি কপি ডেপুটি সিপকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপির হাতে তুলে দেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সমপাদক নাছিমা আক্তার জলি এবং ফোরাম-এর নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *