২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ও পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন (খসড়া) এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা (খসড়া) নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ০৯ নভেম্বর ২০১৬, এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় উক্ত সভার আয়োজন করে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম।

সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর সম্পাদক জনাব নাছিমা আক্তার জলি এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র-এর সভাপতি জনাব নাছিমুন আরা হক মিনু। সভায় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র-এর সহ-সভাপতি জনাব দিল মনোয়ারা মনু, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক লিপিকা বিশ্বাস-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ২০ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জনাব নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ‘সরকার ১৮ এর সাথে শর্ত যুক্ত রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে (খসড়া) পাশ করতে যাচ্ছে। এরফলে আইনটির অপব্যবহার হবে এবং বাল্যবিবাহের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনায় (খসড়া) মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স স্পষ্ট করা হয়নি। আমরা মনে করি, বিশেষ প্রতিবেদন ও নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

জনাব নাছিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘মেয়েদের বিয়ের বয়স ন্যূনতম ১৮ হওয়া উচিত। এরসাথে কোনো শর্ত যুক্ত করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই সরকার যাতে আইনে শর্ত ছাড়াই মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর বহাল রাখে এজন্য গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

সংবাদ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক জনাব সেলিম খান বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখা দরকার যে, এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করা হচ্ছে কিনা’। বাল্যবিবাহ বন্ধে তৃণমূলে বিশেষ করে বিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভা থেকে ২০ নভেম্বর ২০১৬, সকল গণমাধ্যমের নারী ও শিশু পাতার প্রতিবেদকদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভা থেকে যেসব সুপারিশ উঠে আসে তা হলো:
১. বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা;
২. গণমাধ্যমে ‘টক-শো’ আয়োজন করা;
৩. জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ‘ভিডিও ডকুমেন্টারি’ প্রদর্শন করা;
৪. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন (খসড়া) নিয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন ও নিবন্ধ প্রকাশ করা;
৫. বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন এবং এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে অ্যাডভোকেসি করা;
৬. বাল্যবিবাহ বন্ধে করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অ্যাডভোকেসি করা।