২/২, ব্লক-এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮৮০-২-৮৮০-২-৯১১

দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোরামের সহযোগি সংগঠন, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, উজ্জীবকবৃন্দ এবং ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার এর উদ্যোগে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন

নরসিংদীতে কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান
নরসিংদী জেলার মহিলা কল্যাণী গণকেন্দ্রের উদ্যোগে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল র‌্যালি এবং আলোচনা সভা। বর্নাঢ্য র‌্যালিটি নরসিংদীর শতদল বালিকা বিদ্যালয় থেকে শুরু করে আর. এম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শতাধিক মানুষ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় পারিবারিকভাবে সবাই এগিয়ে আসবে – এই সিদ্ধানে- উপসি’ত সকলে ঐকমত্য পোষণ করেন।

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে কন্যাশিশু দিবস পালন
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি : বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ – এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স’ানে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পালিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০১২। দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। ৩০ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার মুলজান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সহযোগিতায় র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ এর মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে দিঘী ইউনিয়নের ১৫টি বিদ্যালয়ের প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন স’ানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য জনাব মফিজুল ইসলাম খান কামাল, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সালেহা ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব কামরুন্নাহার, বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের জেলা সভাপতি জনাব তাজরানা ইয়াসমিন টুলু, অধ্যাপিকা শাহীন আখতার প্রমুখ । এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানী ও সুইডেন থেকে আগত দি হাঙ্গার প্রজেক্টের একদল বিদেশী বন্ধু। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত র‌্যালিটি মুলজান হাই স্কুল মাঠে শুরু হয়ে বাগজান, ভাটবাউর প্রভৃতি গ্রাম প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠান স’লে এসে শেষ হয়।  এ সময় শ্ল্লোগানে শ্ল্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র ইউনিয়ন। আলোচনা সভায় বক্তাগণ কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রনোদনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স’ানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমগুলি অনুষ্ঠানের খবর গুরুত্বের সাথে প্রচার করে।

এছাড়া জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের সহযোগিতায় মানিকগঞ্জের গড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াজুরী কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটবাউর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেউথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবেন্দ্র কলেজ ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ হল রুমে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স’ানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসসিক কর্মকতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়ে নিজ নিজ বক্তব্যে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

গাজীপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কন্যাশিশু দিবস উদযাপন
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ – শ্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম, গাজীপুর জেলা শাখা এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। রঙে রঙে সজ্জিত র‌্যালিটি গাজীপুর শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহরের নাওভাংগা, পূর্ব মারিয়ালীস’ আনন্দ স্কুলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের বিভিন্ন এনজিও প্রধান, বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সদস্যবৃন্দ, কৃষিবিদ, আইনজীবি এবং ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় পাঁচশতাধিক অংশগ্রহণকারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় সমাজের বিবেকবান ও বিত্তবান মানুষকে এসকল দুঃস’ কন্যাশিশুদের পাশে এসে দাড়ানোর আহবান জানানো হয়। তারা যেন একটি সুস’ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়।
বরিশালে কন্যাশিশু দিবস উদযাপন
জন্মনিবন্ধন এবং গাছ লাগানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নবাসী
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল জেলার সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। সভায় শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দসহ স’ানীয গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপসি’ত ছিলেন। সমাজ এবং সভ্যতার বিকাশে নারী এবং কন্যাশিশুদের গুরুত্ব তুলে ধরেন আলোচকবৃন্দ। উপসি’ত সকলে ইউনিয়নের সকল শিশুর জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করা এবং কন্যাশিশুদের ভবিষ্যত বিনির্মাণে তাদের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে ছেলে ও কন্যাশিশুর মধ্যে বৈষম্য দুর করার আহ্বান
কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালি ও আলোচনাসভা। স’ানীয় ব্যক্তিবর্গ, সাবেক চেয়ারম্যান, অধ্যাপক, কিশোর-কিশোরী, নারীনেত্রীসহ প্রায় ২০০জন অংশগ্রহণকারী কর্মসূচিসমূহে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় বক্তাগণ ছেলে ও কন্যাশিশুদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স’ানীয় জনগণের সাথে উঠান বৈঠক আয়োজন করার আহ্বান জানান।

সকল প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কন্যাশিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার চাড়র্শী ইউনিয়নে দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ কন্যাশিশুদের সামাজিক নিরাপত্তাসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকগণের প্রতি আহ্বান জানান। এলক্ষ্যে পাড়ায় পাড়ায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্ট করতে হবে।

ঝালকাঠীতে শিশুতোষ ছবি প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কন্যাশিশু দিবস উদযাপন
ঝালকাঠী জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২। কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিলো র‌্যালি, আলোচনা সভা, শিশুতোষ ছবি প্রদর্শন এবং চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে উক্ত কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক। এছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, নারীনেত্রীসহ স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্রছাত্রী উপসি’ত ছিলেন।

মাদারীপুর জেলায় কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান
মাদারীপুর জেলায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কন্যাশিশুদের লেখাপড়া শেখানো অত্যন- জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন। বিশেষ করে বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তাদের বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তুলতে হবে।বর্তমান সমাজে কন্যাশিশুদের প্রতি সমাজের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
নওগাঁয় কন্যাশিশু দিবস পালন
নওগাঁ জেলার সদর, পত্নীতলা, মহাদেবপুর, শিহারা, আমাইড়, ঘোষনগর, নজিপুর, পাটিচড়া, কৃষ্ণপুর, মাটিন্দর, আকবরপুর, দিবর, নিরমইল ইউনিয়নে অত্যন- জাঁকজমকপূর্ণভাবে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল আবৃত্তি, উপসি’ত বক্তৃতা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, র‌্যালি ও আলোচনা সভা। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীবৃন্দ, স’ানীয় জনগণ, সুজন নেতৃবৃন্দ, উজ্জীবক, নারীনেত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা, সমাজে তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং কন্যাশিশুদের বিকাশের জন্য করণীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পাবনায় কন্যাশিশু দিবস পালন
পাবনা জেলার সদর, ঈশ্বরদী, সাগরকান্দি, দুলাই, সুজানগর ইউনিয়নে কন্যাশিশুদের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২ পালন করা হয়। দিবস উপলক্ষে প্রায় ১০০০ লোক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জেলা মহিলা ও শিশুবিয়য়ক কর্মকর্তা, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, শিক্ষকসহ সকল স-রের জনগণ এসকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত আয়োজনসমূহের মাধ্যমে কন্যশিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপসি’ত অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ করানো হয়।

ইভটিজিং বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি স’ানীয় জনগণকে সোচ্চার হতে হবে
নাটোর পৌরসভা, গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবরিষা ইউনিয়নসহ বেশকিছু স’ানে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এসকল কর্মসূচি পালন করা হয়। পৌর মেয়র, স’ানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসকল কর্মসূচিতে অংশ নেয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ কন্যাশিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে ইভটিজিং বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি সকল পর্যায়ের জনগণকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
রাজশাহীতে কন্যাশিশু দিবস পালন
র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার ৮টি স’ানে কন্যাশিশুদের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২ পালন করা হয়। প্রায় ৫০০০ মানুষ এসকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জেলার প্রায় প্রতিটি স্কুলে সংক্ষিপ্তকারে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। আলোচকরা বলেন ছেলেশিশু ও কন্যাশিশুদের মৌলিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন সাংবিধানিক পার্থক্য নেই, তবুও সমাজ প্রতিনিয় এই পার্থক্যটি করে চলেছে। যা কোন অবস’ায় গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজের এই ভ্রান- মানষিকতা পরির্বতন করতে হবে। এসমস- কর্মসূচিতে স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, শিক্ষক, চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানসহ অনেকে উপসি’ত ছিলেন।

যশোরে কন্যাশিশু দিবস পালন
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি : বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নসহ মোট ১২টি স’ানে কন্যাশিশু দিবস-২০১২পালিত হয়। আয়োজনসমূহের মধ্যে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষা করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। সেই সামাজি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কন্যাশিশুর গুরুত্ব ও তাদের অধিকারসমূহই ছিলো এসকল আলোচনার  মূল বিষয়। এই আলোচনা পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে সমাজের সর্বস-রে পৌছে দিতে হবে। তবেই আমরা কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব। কুইজ এবং চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের মহেশপুর, ফতেপুর, কালীগঞ্জ, কোলা, নিয়ামতপুর, পাগলাকানাই, ফুরসুন্ডি ইউনিয়ন এবং ঝিনাইদহ সদরে কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে  কুইজ ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।  এসকল কর্মসূচিতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী, ছাত্রছাত্রীসহ সকল স-রের জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি : বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহত্তর খুলনা বিভাগের ৩৩টি স’ানে কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। আয়োজন সমূহের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য র‌্যালি, প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং সমাবেশ। ৩৩টি স’ানের প্রায় প্রতিটি স’ানেই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্কুল কলেজের শিক্ষকগণ এবং ছাত্রছাত্রীরা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আলোচ্য কর্মসূচিসমূহ বাদেও কিছু ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ দিবসের গুরুত্বকে আরও প্রাণবন- করে তুলেছে।

বৃক্ষের চারা উপহার এবং পূর্ণ মালিকানা প্রদানের ঘোষণা
কন্যাশিশু দিবসের আলোচনা সভার মাধ্যমে খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়ন এবং বাগেরহাটের রামপাল ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি পরিবারের অভিভাবকগণ বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে তাদের কন্যাশিশুদের উপহার দেন। আরও ঘোষণা প্রদান করেন যে, এগুলো তাঁরা সম্পদে পরিণত করবেন এবং এর পূর্ণ মালিকানা কন্যাদের অর্পণ করবেন। এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ১৫০জন কন্যাশিশু তাঁদের ভবিষ্যত বিনির্মাণের পুঁজি অর্জন করেছে।

ভবিষ্যত বিনির্মাণে বেতাগা ইউনিয়নে কন্যাশিশুদের মাটির ব্যাংক উপহার
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে ৫০টি পরিবারের অভিভাবকগণ তাঁদের কন্যাশিশুকে মাটির ব্যাংক উপহার দেন। এবং ঘোষণা প্রদান করেন যে, এটা তারা তাদের কন্যাদের জন্য বিনিয়োগ এর প্রতিকী হিসেবে প্রদান করলেন। আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যে, এর মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের কন্যাদের জন্য নিয়মিত সঞ্চয় করবেন এবং কন্যাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। চেয়ারম্যান- মেম্বারসহ সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এবং স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসকল অনুষ্ঠানে উপসি’ত ছিলেন।

শুয়াগ্রামে অপুষ্টি রোধের ঘোষণা
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে কন্যাশিশু দিবসে ১০০জন কন্যাশিশুকে ভিটামিন ও কৃমির ঔষধ খাওয়ানো হয়। এর মধ্য দিয়ে বাবা-মায়েরা তাঁদের কন্যাশিশুদের অপুষ্টি রোধের ঘোষণা প্রদান করেন।

মা-বাবা নতুন বই উপহার দিলেন
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের ৪০টি পরিবারের বাবা-মায়েরা তাঁদের কন্যাশিশুদের স্কুলে যাবার উৎসাহ প্রদানের জন্য নতুন বই উপহার দেন। এবং একইসাথে মা-বাবা দু’জনে কন্যাদের হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যান। তাঁরা শিশুদের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের নিকট থেকে মানসম্মত শিক্ষা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসাথে তাঁরা ঘোষণা প্রদান করেন, কন্যাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন এবং কখনোই বাল্যবিবাহ দিবেন না।

কন্যাশিশু দিবসে মায়েদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
কন্যাশিশু দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য আত্মউপলব্ধিতে এনে আত্মস’ করার জন্য খুলনার আড়ংঘাটা ইউনিয়নে মা সমাবেশে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিগত কন্যাশিশু দিবসের লিফলেট, পোস্টারের ওপর এলাকার ৭৫জন মা বিভিন্ন বিষয়ে এই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর পোস্টার, লিফলেট প্রকাশ করা হয়। কিন-, অনেকেই আমরা হয়তো বিস-ারিত পড়ে দেখিনা। তাই উক্ত প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল, মায়েদের কন্যাশিশুদের গুরুত্ব জানা এবং উপলব্ধি করা। ভবিষ্যতে, বাবাদের নিয়েও এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

কমলগঞ্জে বাল্যবিবাহকে না
সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গলের কমলগঞ্জ ইউনিয়নে জাকজমকপূর্ণভাবে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও শপথবাক্য পাঠের আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে কমলগঞ্জ ইউনিয়নের  ১০০ জন ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার না হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথবাক্য পাঠ করে এবং শিক্ষাজীবন সমাপ্তি না হওয়া পর্যন- বৈবাহিক জীবন শুরু করবে না বলে ঘোষণা দেয়। এছাড়াও এলাকার কোথাও কোন বাল্যবিবাহ সংঘঠিত হতে যাচ্ছে দেখলে, তারা তা প্রতিরোধ করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে।

কন্যাশিশু জাতীয় উন্নয়নের অংশ
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসকে ঘিরে সিলেট জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। র‌্যালি দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। র‌্যালিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইউনিয়ন পরিষদে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কন্যাশিশুর শৈশব থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন–প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের অবস’া ও অবস’ান তুলে ধরা হয়। বক্তাগণ বলেন, কন্যাশিশুকে বাদ দিয়ে জাতীয় পরিবর্তন সম্ভব নয় এবং জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে কন্যাশিশুকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে এবং ছেলেশিশুর পাশাপাশি কন্যাশিশুকে সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে। আর এর ফলেই সম্ভব হবে দেশ ও জাতির উন্নয়ন।

বদলে যাচ্ছে চরমহল্লা
সুনামগঞ্জ জেলাধীন ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নে র‌্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে উক্ত বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ২২০জন। ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ার বিষয়টিকে বর্তমানে কন্যাশিশুদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে বলে বক্তাগণ সনে-াষ প্রকাশ করেন এবং অভিভাবকগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন

কন্যাশিশু দিবস ও নদী বাঁচাও আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা
নদীমাতৃক বাংলাদেশ। নদী ও নারীর  জীবন একই সূত্রে গাঁথা। এদেশের নারী ও কন্যাশিশুদের আর্থ-সামাজিক অবস’া যেমন খারাপ নদীর অবস’া তেমনি ভয়াবহ। আমাদের কন্যাশিশুরা ঘর থেকে বের হলেই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়। তেমনিই প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাচ্ছে আমাদের বহমান নদী। স্রোতস্বীনী নদী হারাচ্ছে তার বহমানতা। ফলে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে আমাদের নদী। তেমনি একটি মৃতপ্রায় নদের নাম পূরাতন ব্রহ্মপুত্র। ফলে বর্তমান সময়ে ‘ব্রহ্মপুত্র বাঁচাও’- আন্দোলন ময়মনসিংহের এক নম্বর ইস্যু এবং ময়মনসিংহবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ময়মনসিংহের প্রতিটি নাগরিক সংগঠনই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার এবং বিভিন্নভাবে একটি নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানটি পরিণত হলো ব্রহ্মপুত্র বাঁচাও আন্দোলনে। ‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার-বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ ইউনিট ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে আয়োজন করে পথসভা ও মানববন্ধন। কন্যাশিশুর অগ্রগতির  সাথে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির যেমন একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তেমন পরিবেশ তথা নদী সংরক্ষণের সাথেও দেশের অগ্রগতির রয়েছে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক। এই বিষয়টি তুলে ধরেন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের ইয়ূথ লিডাররা। এজন্য প্রশাসনসহ সকল স-রের জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে ব্রহ্মপুত্র বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। আয়োজনটি সুধী মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলায় মেধাবী কন্যাশিশুদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান
শৈশব থেকেই গুণের মর্যাদা পেতে থাকলে জ্ঞান  ও গুণ লাভের ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। এভাবেই একজন শিশু ধীরে ধীরে একজন গুণীজনে পরিণত হয়। এ উপলব্ধি থেকে এবারের কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে নেত্রকোনা সদর উপজেলা প্রশাসন, কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম এবং সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর যৌথ উদ্যোগে উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অদম্য মেধাবী ১০জন কন্যাশিশুকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া পারভীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নেত্রকোনা জেলা সুজন সভাপতি প্রখ্যাত সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল। এছাড়াও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক যতীন সরকারসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে উপসি’ত ছিলেন।

বিশ্বের আলোকিত নারীদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সাধারণজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন
আজকের কন্যাশিশু হতে পারে ভবিষ্যতের একজন মহিয়ষী নারী – তাই কন্যাশিশুদের শৈশব থেকেই বিশ্ব নন্দিত নারীদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে হবে। এ ভাবনা থেকে এবারের কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে তেলিগাতী ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ সাধারণজ্ঞান প্রতিযোগিতা। বিশ্বের আলোকিত নারীদের জীবন ও কর্ম বিষয়ে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয় । ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের তেলিগাতী ইউনিট, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক ও স’ানীয় মহুয়া সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ ব্যতিক্রমী আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী  এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বালাপাড়া ইউনিয়নে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ও সচেতনতার মাধ্যমে কন্যাশিশুর প্রতি অবহেলা নির্মূল করার আহ্বান
‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি : বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ – শ্লোগানকে সামনে রেখে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। র‌্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবস উদ্‌যাপন সম্পন্ন হয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ উল্লেখ করেন, ছেলেশিশু ও কন্যাশিশু সমাজ ও জাতি উন্নয়নের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন’, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে কন্যাশিশুদের আমরা অবহেলার চোখে দেখি, এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। কন্যাশিশুদের অবজ্ঞা করা সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ও সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কন্যাশিশুর প্রতি অবহেলা নির্মূল করতে হবে।

কাশিল বটতলায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন
টাঙ্গাইলের কাশিল বটতলায় ‘স্বাধীন কিন্ডারগার্টেন’ এর উদ্যোগে পালিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২। দিবস উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন-ছেলে হোক আর মেয়ে হোক – সবাই মানুষ। সুতরাং মানুষ হিসেবে ছেলেদের সাথে কন্যাদেরও সমাজ তথা রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে সমঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বক্তাগণ আরও বলেন সুযোগ পেলে সবাই তার মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে। উদাহরণ হিসাবে এভারেস্ট বিজয়ী দুই নারীর কথা তারা উল্লেখ করেন। আলোচনাসভা শেষে ছোট্ট সোনামনিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কন্যাশিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নে কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শিক্ষক, আইনজীবী, উন্নয়নকর্মীসহ প্রায় ২৫০জন অংশগ্রহণকারী এসকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা কন্যাশিশুদের প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। এছাড়াও কন্যাশিশুদের নির্বিঘ্নে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে উপসি’ত সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
কন্যাশিশু দিবস-২০১২ উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কন্যাশিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে একটি চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ কোমলমতি শিশু ও কিশোর-কিশোরী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ পড়াশুনার পাশাপাশি কন্যাশিশুদের মেধাবিকাশের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করার আহবান জানান। সভায় বাল্যবিবাহ বন্ধ ও কন্যাশিশুদের দেশ ও জাতি গঠনে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়। আলোচনা শেষে চিত্রাঙ্কান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১৫ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বৃহত্তর রংপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন
দিবস উপলক্ষে বৃহত্তর রংপুর জেলায় প্রায় ৩০০ অংশগ্রহণকারীর অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তাগণ বর্তমানে কন্যাশিশুদের কি অবস’া, কেন এ অবস’া, কিভাবে এ অবস’ার সৃষ্টি হয়েছে – সে সম্পর্কে বিস-ারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও কী কী পদক্ষেপ এবং ব্যবস’া গ্রহণ করলে এ অবস’া থেকে উত্তরণ ঘটানো যাবে – এ বিষয়ে আলোকপাত করেন। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, নারীনেত্রীসহ সমাজের বেশ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত আলোচনা সভায় উপসি’ত থেকে তাদের সুচিনি-ত মতামত প্রকাশ করেন।

গজঘন্টে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন বন্ধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রংপুর জেলার সদর উপজেলার গজঘন্টা স্কুল এন্ড কলেজে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১২ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০০ অংশগ্রহণকারী আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তাগণ নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধে করণীয় সম্পর্কে বিস-ারিত আলোচনা করেন। তারা মনে করেন, বাল্যবিবাহ একটা সচল জীবনকে স’বির করে দেয়। এর বিরুদ্ধে সকল বিবেকবান মানুষকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ইউনিয়ন এর প্রায় প্রতিটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সাধারণ জ্ঞান, র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে রংপুর সদরে কন্যাশিশু দিবস পালন
রংপুর শহরের বেগম রোকেয়া বালিকা বিদ্যালয়ে কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নপত্রে কন্যাশিশুদের অধিকার, তাদের গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রাখা হয়। তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স’ান অধিকারী মোট নয়জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

কন্যাশিশু দিবসে পথনাটক মঞ্চস’ হল রাজবাড়ীতে
রাজবাড়ি জেলার মৃগী, পাট্রা, রতনদিয়া, বালিয়াবান্দি, বহরপুর, জামালপুর ইউনিয়ন, পাংশা উপজেলা ও রাজবাড়ি জেলা সদরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর অগ্রগতি : বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ বিষয়ক পথনাটক প্রদর্শন করা হয়, যেখানে উপসি’ত ছিলেন প্রায় ৫০০ মানুষ। তারা কন্যাশিশুদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ অনুভব করেন। স’ানীয় সংগঠন, সুজন, বিকশিত নারী নেটওযার্ক, ইযুথ এন্ডিং হাঙ্গার এবং কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে সরকারের সাথে জেলার বিভিন্ন স’ানে কর্মসূচিসমূহ পালন করে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকতা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীবৃন্দ এসকল কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সমাজ গঠনে কন্যাশিশুদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করা ও তাদের প্রতি বৈষম্য দূর করাই ছিলো এসকল কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

শিক্ষাই বাল্যবিবাহ বন্ধের অন্যতম হাতিয়ারকরার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির অঙ্গীকার করলেন ফরিদপুর জেলাবাসী
জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের আলোচনা সভায় উপসি’ত অংশগ্রহণকারী কন্যাশিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিত করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির অঙ্গীকার করলেন। ফরিদপুর জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, বাল্যবিবাহের জন্য বেশিরভাগ কন্যাশিশুদের লেখপড়া বন্ধ হয়ে যায়, এটা সমাজে ব্যধির মত জেঁকে বসেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারলেই সমাজে কন্যাশিশুদের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়া অনেকটা নিশ্চিত করা যাবে। তাই, উপসি’ত সকলে অঙ্গীকার করেন যে, তাদের নিজের কন্যার বাল্যবিবাহ দিবেন না এবং এলাকায় কোন বাল্যবিবাহ হতে দিবেন না।
আলোচনা সভায় ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাববকবৃন্দ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়নকর্মী এবং স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আলোচনা সভা শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে।

র‌্যালি, আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় দিবস পালন
কুমিল্লা জেলাসহ বৃহত্তর কৃমিল্লা অঞ্চলের ৪টি জেলার ১৫টি স’ানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন করা হয়। জেলাগুলোর মধ্যে ছিলো লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চাঁদপুর। মূলত: কন্যাশিশুদের গুরুত্ব ও সমাজ উন্নয়নে তাদের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করাই ছিলো এ আয়োজনসমূহের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও কন্যাশিশুদের শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। দিবস পালনের মাধ্যমে ছেলেশিশুদের পাশাপাশি কন্যাশিশুদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার প্রতি স’ানীয় জনগণকে উদ্বুব্ধ করা হয়।
আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিষয়বস’ ছিলো সমাজ উন্নয়নে কন্যাশিশুদের ভূমিকা সম্পর্কিত। প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স’ান অধিকারীকে পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে জেলা প্রশাসক, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, স্বাস’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, অধ্যাপক, প্রধান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ উন্নয়নকর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম
গত  ৩০ সেপ্টেম্বর দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের পনেরটি স’ানে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স’ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপসি’তিতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০১২ উদ্‌যাপিত হয়। বিভিন্ন স’ানে আলোচনাসভা ও র‌্যালি করার মাধ্যমে সফলভাবে এ দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপসি’ত অংশগ্রহণকারীগণ কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ ইভটিজিং, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন বন্ধ, নির্যাতিত শিশুদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য সর্বস-রের জনসাধারনের প্রতি আহ্বান জানান।

উন্নয়নকে গতিশীল করতে হলে কন্যাশিশু ও নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বদরখালী ইউনিয়নবাসী
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে প্রায় ১৫০জনের উপসি’তিতে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়। এতে উপসি’ত ছিলেন বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব নুরে হোসাইন আরিফ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন যে, শহুরে কন্যাশিশুর তুলনায় গ্রামীন কন্যাশিশুরা শিক্ষা, স্বাস’্য ও সচেতনতাসহ সকল ক্ষেত্রে অনেক বেশি পিছিয়ে আছে। নির্যাতিতের সংখ্যাও গ্রামে অনেক বেশি। যার ফলে/কারণ গ্রামের উন্নয়নের মাত্রা ধীর গতির। উন্নয়নের মাত্রাকে গতিশীল করতে হলে কন্যাশিশু ও নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই। তাঁরা আহ্বান জানান, আসুন এ শ্লোগানকে ধারণ করে আমরা সকলে মিলে ক্ষুধামুক্ত বদরখালী ইউনিয়ন তথা বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

কন্যাশিশুর প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চকরিয়া পৌরসভায় দিবস উদ্‌যাপন
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রায় শতাধিক লোকের উপসি’তিতে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়। এতে উপসি’ত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আলোচনাসভায় বক্তাগণ বলেন, সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি গড়তে হলে কন্যাশিশুর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে নারী-পুরুষ সকলেরই স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। মানুষ যেমন শরীরে একটা অংশের পঙ্গুত্ব নিয়ে ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে না, তেমনি সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়েও সমাজ বেশিদূর অগ্রসর হতে পারে না। তাই সুখী সমৃদ্ধিশালী জাতি তথা দেশ গড়ার জন্য শিক্ষিত, সচেতন ও শক্তিশালী নারী সমাজ গড়তে সকলেরই কন্যাশিশুর প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। আর এ উদ্যোগ শুরু হোক নিজ পরিবার এবং নিজের গ্রাম থেকে।

কক্সবাজার সদরে কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন
কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার পৌরসভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়। এতে উপসি’ত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ। আলেচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়িত করতে হলে ক্ষমতায়ন সম্পর্কে নারী-পুরুষ সকলেরই স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে সমাজকে বেশিদূর এগিয়ে নেয়া অসম্ভব। একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী জাতি গড়তে সকলকেই কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার ফিসারী ঘাট এলাকায় প্রায় শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপিত হয়। এতে উপসি’ত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাউন্সিলর, বিভিন্ন পেশার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, উন্নয়নের প্রথম এবং প্রধান শর্ত শক্তিশালী জাতি গঠন। আজকের কন্যাশিশু আগামীর মা, সুতরাং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে কন্যাশিশুর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই ।

খাগড়াছড়ি সদর
খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার পৌরসভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপসি’ত ছিলেন পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, কন্যাশিশুকে ক্ষমতায়িত করতে হলে এ সম্পর্কে সকলেরই স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত। একটি উন্নত দেশ গড়তে কন্যাশিশুর গুরুত্ব অপরিসীম।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পেরেশন এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স’ানীয় দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনে উপসি’ত ছিলেন পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।